আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি হচ্ছে একটি সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দলের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। কারণ তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে। আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে আর তাদের রাজনীতি মানুষ পোড়ানোতে। আমি বিএনপি-জামায়াতকে ধিক্কার জানাই।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বরিশাল নগরীর ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগকে হারানো হয়েছিল। এরপর বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষদের অনেক অত্যাচার-নির্যাতন সইতে হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল ছিল বাংলাদেশের জন্য অন্ধকার যুগ।
বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, তারা অকাতরে নির্যাতন-অত্যাচার করেছে। তাদের অত্যাচারে টিকতে না পেরে এ অঞ্চলের ২৫ হাজার মানুষ কোটালীপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছিল। তারা মানুষের হাত-পা কেটে ফেলতো। চোখ উপড়ে ফেলতো। মেয়েদের উপর পাশবিক নির্যাতন চলাতো। তখন কেউ ঘরে থাকতে পারতো না।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির অপশাসনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। আজ বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। কথা দিয়েছিলাম, কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না।সেই কথা রেখেছি। আজকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। দারিদ্র্য বিমোচন করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি।
এসময় শেখ হাসিনা জনসভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, আপনাদের কাছে আহ্বান, আপনারা ৭ জানুয়ারি সবাই সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে যাবেন। নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। এই নৌকায় ভোট দিলে দেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হবে।
এর আগে সকাল ৯টায় বরিশালের উদ্দেশে রওনা হন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে কেন্দ্র করে জেলার পাশাপাশি পুরো বিভাগে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।