বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানো এখন সরকারের প্রতিদিনের কাজ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিরোধী দলগুলোর সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠানোর ঘটনাকে এখন প্রতিদিনের কাজ হিসেবে নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
‘মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজা প্রদান ও জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে’ এ বিবৃতি দেন মির্জা ফখরুল।
বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, ৭ জানুয়ারি ‘ডামি’ নির্বাচনের পর রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতার দম্ভে ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করছে।
তিনি বলেন, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ‘৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন তা জাতির নিকট চিরস্মরণীয় থাকবে। তিনি বর্তমানে ভীষণ অসুস্থ, কিছুদিন আগে বিদেশ থেকে হাঁটুর অপারেশন শেষে দেশে ফিরেছেন। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারছেন না। অথচ মিথ্যা মামলায় তার মতো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার জামিন নামঞ্জুরের ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো যে, দেশে বিরোধী দল ও ভিন্নমত প্রকাশকারী মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও জুলুম—নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী যে মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না- তা মেজর হাফিজের মতো একজন অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের মাধ্যমে সেটি প্রমাণিত হলো। বর্তমানে দেশে আইনের শাসন ও সুশাসন নেই বলেই গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণরত নেতাকর্মীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দুঃশাসন প্রলম্বিত করার জন্যই দেশে ভীতি ও আতঙ্কের বিস্তার ঘটানো হচ্ছে।
সারাদেশে বিরোধী নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ এবং অবিলম্বে হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রত্যাহারসহ তার নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।