জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিষয়ে অনুসন্ধানকে প্রভাবিত করতে বাইরে থেকে কোনো চাপ নেই বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন। সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অনুসন্ধানে বাইরের চাপ ও প্রভাবের বিষয়ে দুদক সচিব বলেন, ‘আপনারা জানেন দুর্নীতি দমন কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা, এসব বিষয়ে কোনো দিক থেকে কোনো চাপ আসছে না। যে দুটো আইন ও বিধির কথা উল্লেখ করছি, এই সংশ্লিষ্ট আরও কিছু আইন আছে, সেগুলোর আলোকে আমাদের আইনি প্রক্রিয়া চলছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসব কার্যক্রম চলে, এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম বা ব্যত্যয় হবে না।’
খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, ‘পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও দুই কন্যার ব্যক্তিগত শুনানির তারিখ ছিল আজ (সোমবার)। তবে তাঁরা আজ উপস্থিত হননি। তারিখ বাড়ানোর জন্য কোনো আবেদনও করেননি। তবে একটি লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। যেখানে অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের অবস্থান বর্ণনা করেছেন। এই আবেদনটি বেনজীর আহমেদের আবেদনের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার এসেছিল।’
বেনজীরের স্ত্রী ও কন্যারা যে আবেদন করেছেন, তা যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা দুদক আইন ও দুদক বিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান দুদক সচিব।
তাদের বিষয়ে পরবর্তীকালে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তদন্তকারী কর্মকর্তারা প্রতিবেদন দেওয়ার পর কমিশন–পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে। প্রতিবেদনে কর্মকর্তাদের সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে ও অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম চলবে।’
মতিউরের বিষয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, ‘মতিউরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। মতিউরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিতে অনুসন্ধান কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করেছেন। আদালত থেকে মতিউরের বিদেশযাত্রার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মতিউর, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও তাদের পুত্রসন্তান আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।’