ভারতের উত্তর প্রদেশের হাতরাস শহরে এক ধর্মীয় সমাবেশে পদদলিত হয়ে মৃতের সংখ্যা ১০৭ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস। স্থানীয় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আশঙ্কা করছেন হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
জানা গেছে, রাজধানী নয়াদিল্লি থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে হাতরাস শহরে শিব দেবতার পূজা উপলক্ষে পুণ্যার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন।
এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, হাতরাসের মুঘলগড়ী গ্রামে ধর্মীয় এক আয়োজন চলার সময় এই ঘটনা ঘটে।
ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এক নারী জানিয়েছেন, প্রার্থনা সভাটি আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় এক ধর্মীয় গুরুর সম্মানে। অনুষ্ঠান শেষে যখন মানুষ বের হয়ে যাচ্ছিলেন তখন পদদলনের ঘটনা ঘটে।
এটার পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিংহ জানান, হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আলিগড়ের আইজি জানিয়েছেন, সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। যারা বেঁচে আছেন তাদের কাছ থেকে গোটা বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন। এছাড়া এক্সে এক পোস্টে আদিত্যনাথ জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ ও উদ্ধার তৎপরতা চালাতে এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
ভারতে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের সময় মন্দিরে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ২০১৬ সালে কেরালায় একটি মন্দিরে হিন্দুদের নতুন বছর উদ্যাপনের সময় নিষিদ্ধ আতশবাজি ফুটানোর সময় ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অন্তত ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
মধ্য প্রদেশে ২০১৩ সালে একটি মন্দিরের কাছে সেতুতে পদদলিত হয়ে ১১৫ জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়ছিল। সে সময় সেখানে ৪ লাখের মতো মানুষ জড়ো হয়েছিল। গুজব ছড়িয়ে পরেছিল সেতুটি ধসে পড়বে, আর তখনই এই পদদলনের ঘটনা ঘটে।
২০০৮ সালেও রাজস্থানের যোধপুরে পদদলিত হয়ে ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।