জয় বাংলাদেশ : মঙ্গলবার ভোট গ্রহণ শুরুর আগে সর্বশেষ প্রচারে ট্রাম্প ছিলেন মিশিগানে আর কামলা ছিলেন ওয়াশিংটনে। ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী ঐতিহ্য মেনে গ্র্যান্ড র্যাপিডসে তাঁর সর্বশেষ প্রচার চালান। এরপর তিনি চলে যান ফ্লোরিডায়। সেখানেই তাঁর ভোট দেওয়ার কথা। অবশ্য এর আগে তিনি আগাম ভোট দেওয়ার কথা বলেছিলেন; কিন্তু তাঁকে আগাম ভোট দিতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে গত রোববার কামলা জানান, তিনি ডাকযোগে নিজ অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় আগাম ভোট দিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে পাম বিচে নির্বাচনী প্রচার পর্যবেক্ষণশিবিরে বসে ফলাফল দেখার অপেক্ষায় থাকার কথা ট্রাম্পের। অন্যদিকে ভোট শুরুর আগের রাতে ওয়াশিংটনের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন কামলা। সেখানেই ভোট শেষেও তাঁর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা। এর বাইরে নির্বাচনের দিন তাঁর প্রচারশিবির আর কোনো আয়োজন রাখেনি। এর আগে গত সোমবার শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় হ্যারিসের পক্ষে পেনসিলভানিয়ার সমাবেশে উপস্থিত হন পপস্টার লেডি গাগা।
ভোট শুরুর পর এক এক্স পোস্টে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কামলা লেখেন, ‘আমেরিকা, এটা আপনাদের আওয়াজ তোলার মুহূর্ত।’
অন্যদিকে ভোট শুরুর আগে নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘এটা বেরিয়ে আসার ও ভোট দেওয়ার সময়। আমরা একসঙ্গে আমেরিকাকে আবার মহান করতে পারব!’
এবারের নির্বাচনের ফল ঘিরে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। ট্রাম্প আগে থেকেই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করেছেন। তিনি মিথ্যা দাবি করে বলেছেন, ডেমোক্র্যাটরা প্রতারণার আশ্রয় নিলেই কেবল তিনি হারতে পারেন। আশঙ্কা রয়েছে, ২০২০ সালের মতোই নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল আসার আগেই বিজয় দাবি করে বসতে পারেন ট্রাম্প। এ ধরনের পরিস্থিতি ঘটলে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
নির্বাচনে কোনোরূপ কারচুপি হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য রিপাবলিকান জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে হাজারো পর্যবেক্ষক ও পর্যবেক্ষণকেন্দ্র ঠিক করে রাখা হয়েছে। ওয়াশিংটনসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক শহরে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা ঠেকানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে পুলিশ।