সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাজধানীর শাহবাগ মোড় ছেড়ে দিয়েছেন। সোমবার (৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা শাহবাগ ছেড়ে দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা সর্বাত্মক ব্লকেডের প্রস্তুতি নিচ্ছি। পাশাপাশি আমাদের সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ছাত্রধর্মঘট চলমান থাকবে। আগামীকাল অফলাইন ও অনলাইন গণসংযোগ চলবে। গণসংযোগ করে আগামীকাল বিকেলে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের সমন্বয় করে সর্বাত্মক ব্লকেডের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেব।’
নাহিদ ইসলাম এ সময় আরও বলেন ‘বল এখন সরকারের কোটে। সরকারের কাছেই আমাদের এক দফা। এক দফা মেনে নিতে হবে। আমাদের এখন আর আদালত দেখিয়ে লাভ নেই।’
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই। কিন্তু আপনারা আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। আমরা থাকব রাজপথে, আপনারা থাকবেন এসি রুমে, গভীর ঘুমে; তা হতে পারে না। আমাদের দাবি নিয়ে সমন্বয় করা না হলে ভয়াবহ পরিণাম হবে। আমাদের কোনো ভাই, কোনো বোনের কোনো কিছু হলে দায়ভার আপনাদেরকে নিতে হবে।’
ছাত্র আন্দোলনের অপর সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘কোটা প্রথার দিনশেষ, মেধাবীদের বাংলাদেশ। সারজিস শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন আপনি কি কোটার প্রোডাক্ট নাকি? কোটার প্রতি আপনার এত দরদ কেন! স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে হলে কোটা প্রথা বাতিল করে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। বাংলা ব্লকেড সফল হয়েছে, ৪০ জেলায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। আগামী দুদিনে ৬৪ জেলায় কীভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হয়, তা দেখিয়ে দিবে শিক্ষার্থীরা।’
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে তীব্র আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা কোটা বাতিল-সহ চার দফা দাবিতে সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে একটি কর্মসূচিও পালন করেছে।