Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeআন্তর্জাতিকমধ্যপন্থী ভোটারদের কাছে টানার কৌশল কমলার

মধ্যপন্থী ভোটারদের কাছে টানার কৌশল কমলার

জয় বা্ংলাদেশ : রিপাবলিকান ও মধ্যপন্থী ভোটারদের কাছে টানা চেষ্টা করছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এ উদ্দেশ্যে আজ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে মার্কিন কংগ্রেসের সাবেক সদস্য লিজ চেনির সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা। আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উইসকনসিনকে গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ অঙ্গরাজ্যের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

গত মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান নেতা ডিক চেনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার ঘোষণা দেন। ডিক চেনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্বে ছিলেন।

নিজ দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রিপাবলিকানদের জন্য হুমকি উল্লেখ করে এ ঘোষণা দেন তিনি। ডিক চেনির মেয়ে এবং সাবেক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা লিজ চেনিও কমলাকে সমর্থন দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত রিপাবলিকান পার্টি থেকে সমর্থন পাওয়া নেতাদের মধ্যে এ দুজনকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালী বলে মনে করা হয়। এ দুজনই ট্রাম্পকে সমালোচনা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ট্রাম্প ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল মেনে নিতে চাননি। এ ছাড়া ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গায় ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল।

এবারের নির্বাচনে কমলা ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কমলা হ্যারিসকে রিপাবলিকান ও এখনো সিদ্ধান্ত নেননি এমন ভোটারদের আস্থা অর্জন করা জরুরি। তবে আস্থা অর্জন করতে গিয়ে নিজের সমর্থকদের চটানো যাবে না। বিশেষ করে উইসকনসিনের মতো অঙ্গরাজ্যে দোদুল্যমান ভোটারদের আস্থা অর্জন করা কমলার জন্য বেশি জরুরি।

কমলা হ্যারিস ইতিমধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা থেকে ডানপন্থা ঘেঁষা নীতি গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন, অভিবাসীদের প্রতি কঠোর নীতি, জ্বালানি খরচ কম করতে বিশেষ নীতি গ্রহণের মতো বিষয়।

তবে সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, সামরিক বাহিনীতে কাজ করা সাবেক ও বর্তমান হাজারো রিপাবলিকান সেনা কর্মকর্তা, জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থানীয় সরকারের অনেক কর্মীর সমর্থন সত্ত্বেও রিপাবলিকানদের আস্থা অর্জন করতে পারছেন না কমলা।

রয়টার্সের জরিপে দেখা গেছে, গত ২০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে ট্রাম্পের চেয়ে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে কমলা। তবে মাত্র ৫ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন, তাঁরা কমলাকে সমর্থন করেন। ১০ শতাংশ বলেছেন, বিকল্প কাউকে চিন্তা করবেন।

লিজ চেনির সঙ্গে বৈঠকে তিনি রক্ষণশীল নীতিগুলো নিয়ে কাজ করায় তাঁর প্রশংসা করতে পারেন। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সবার প্রেসিডেন্ট হবেন এ বার্তা পুনর্ব্যক্ত করতে পারেন।

 

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments