লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী একটি ফ্লাইট তীব্র ঝাঁকুনির কবলে পড়ে অন্তত একজন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিমানের এসকিউ৩২১ ফ্লাইটটি তীব্র ঝাঁকুনির কবলে পড়ায় থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সুবর্ণভূনি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। ওই ফ্লাইটে ২১১ যাত্রী এবং ১৮ ক্রু ছিলেন।
কী ঘটেছিল সেটি রয়টার্সকে জানিয়েছেন ওই ফ্লাইটে থাকা মালয়েশিয়ার ছাত্র জাফরান আজমির।
তিনি বলেন, বিমানটি হঠাৎ করেই কাত হতে শুরু করে। প্রচণ্ড ঝাঁকুনিও শুরু হয়। কী ঘটছে আমি বুঝতে চেষ্টা করলাম। এর পরপরই হঠাৎ করে বিমানটি নিচে নেমে যায়। এসময় সবাই বসে ছিলেন। সিটবেল্ট না পরা যাত্রীরা সঙ্গে সঙ্গে সিলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা খান। কিছু লোকের মাথা ওপরের ব্যাগেজ কেবিনে আঘাত করে। কেবিনের লাইট এবং মাস্ক রাখার স্থানে আঘাত লাগায় সব কিছু ভেঙে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের ২০২১ সালের করা এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বিমান দুর্ঘটনার সবচেয়ে সাধারণ ধরন হলো তীব্র ঝাঁকুনি। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এই সংস্থা দেখেছে, বিমান দুর্ঘটনার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ছিল তীব্র ঝাঁকুনি সম্পর্কিত। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব ঘটনায় এক বা একাধিক যাত্রী গুরুতর আহত হলেও বিমানের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের সর্বশেষ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০০০ সালের ৩১ অক্টোবর। ওই দিন সিঙ্গাপুর থেকে তাইপে হয়ে লস অ্যাঞ্জেলেস যাওয়ার সময় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তাইওয়ানের তাওউয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভুল রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের চেষ্টার সময় নির্মাণ সরঞ্জামের ওপর বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। এই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ১৭৯ যাত্রীর মধ্যে অন্তত ৮৩ জন নিহত হন।
এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের রেকর্ড অনুযায়ী, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এখন পর্যন্ত মোট সাতবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সর্বশেষ এই দুর্ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিন বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িংয়ের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।