ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন দফায় আলোচনার আয়োজন করেছে মিসর। এর মধ্যেই তীব্র হামলা অব্যাহত রয়েছে। খবর রয়টার্সের।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা মধ্য গাজার আল-আকসা হাসপাতালের আঙ্গিনায় একটি কমান্ড সেন্টারে হামলা চালিয়ে ইসলামিক জিহাদের এক সিনিয়র নেতাকে হত্যা করেছে।
সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘কমান্ড সেন্টার ও সন্ত্রাসীদের ওপর হামলা করা হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল হাসপাতাল এলাকার বেসামরিকদের ক্ষতি কমিয়ে আনা। হামলায় আল-আকসা হাসপাতাল ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি ও এর কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়েনি।’
হামাস ও তাদের মিত্র ইসলামিক জিহাদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ও হামাস মিডিয়া জানিয়েছে, আল-আকসা হাসপাতালের ভেতরে বেশ কয়েকটি তাঁবুতে হামলা হয়েছে। এতে চারজন নিহত ও পাঁচ সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাস যোদ্ধারা সীমান্ত ভেঙ্গে দক্ষিণ ইসরায়েলে তাণ্ডব চালানোর পর যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েলের তথ্য অনুসারে ১ হাজার ২০০ নিহত ও ২৫৩ জিম্মিকে অপহরণ করা হয়।
৭ অক্টোবরের হামলার পর গাজায় এখনো হামাস যোদ্ধাদের হাতে বন্দী ১৩০ জনের মধ্যে ৪০ জনকে প্রস্তাবিত মুক্তির বিনিময়ে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় দুই পক্ষ আলোচনা জোরদার করেছে।
যুদ্ধের সমাপ্তি ও ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের জন্য যেকোনো চুক্তিতে যাওয়ার চেষ্টা করছে হামাস। ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তারা হামাস ও তার সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করার প্রচেষ্টা পুনরায় শুরু করবে।
তবে কায়রো আলোচনার টেবিলে উপস্থিত থাকবে না হামাস। রোববার একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কারণ ইসরায়েলের নতুন কোনো প্রস্তাব আলোচনার টেবিলে আনা হয়েছে কিনা মধ্যস্থতাকারীদের থেকে তা শোনার জন্য অপেক্ষা করছে হামাস।