গাজায় যুদ্ধ শেষে হওয়ার পর ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থাকে এই অঞ্চলে কাজ করা থেকে বিরত রাখতে চাইবে ইসরায়েল। শনিবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেছেন। খবর এএফপির।
৭ অক্টোবরের হামাসের হামলায় জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) বেশ কয়েকজন কর্মী জড়িত থাকার অভিযোগের পরে এই ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ তার এক্স-এ করা পোস্টে লিখেছেন, ইসরায়েলের লক্ষ্য ছিল যুদ্ধের পর ‘ইউএনআরডব্লিউএ’ গাজার কোনো অংশ হবে না। তিনি এজেন্সিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং অন্যান্য প্রধান দাতাদের কাছ থেকে সমর্থন সংগ্রহ করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস শনিবার ইউএনআরডব্লিউএর বিরুদ্ধে ইসরায়েলি ‘হুমকির’ নিন্দা করেছে। গোষ্ঠীটি জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ‘হুমকি ও ব্ল্যাকমেল’ না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ শুক্রবার বলেছে, তারা ৭ অক্টোবরের হামাসের নজিরবিহীন হামলায় জড়িত থাকার কারণে ইসরায়েলের অভিযুক্ত বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে। এর ফলে সংস্থাটিতে উল্লেখযোগ্য অর্থায়ন স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার জন্য ইউএনআরডব্লিউএ কর্মীকে ‘ফৌজদারি বিচারের মাধ্যমে জবাবদিহিমূলক’ রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গুলি চালানোর প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ‘ইউএনআরডব্লিউএ-র একটি জরুরি ও স্বাধীন পর্যালোচনা’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ কথা বলেছেন।
ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, তারা সংস্থাটিকে অস্থায়ীভাবে অতিরিক্ত তহবিল স্থগিত করেছে। এছাড়াও দাবির পাশাপাশি জাতিসংঘের উদ্বেগ মোকাবিলার পরিকল্পনাও পর্যালোচনা করেছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
হামলার সঙ্গে ১২ কর্মচারী ‘সম্পৃক্ত থাকতে পারে’ বলে স্টেট ডিটার্টমেন্ট যোগ করেছে। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাও বলেছে তারা সংস্থাটিকে তহবিল দেওয়া স্থগিত করেছে।
ইসরায়েলের হামলায় এপর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ২৬ হাজার ৮৩ জন নিহত হয়েছে, যাদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।