রাশিয়ার তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এটি রাশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম তেল শোধনাগার। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সীমান্ত থেকে প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার ভেতরে এই হামলা হয়। খবর রয়টার্সের।
প্রতিদিন ১ লাখ ৫৫ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত তেল প্রক্রিয়াজাত করে এমন একটি ইউনিটে ড্রোন আঘাত হেনেছে। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রুশ কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের জ্যামিং যন্ত্র তাটনেফটের টানেকো শোধনাগারের কাছে ইউক্রেনের একটি ড্রোন শনাক্ত করে। এই শোধনাগারে দৈনিক ৩ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল তেল প্রক্রিয়াজাত করা যায়।
বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, ড্রোন হামলার পর আগুনের সূত্রপাত হলে ২০ মিনিটের মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এতে উৎপাদন ব্যাহত হয়নি।
স্থানীয় নিজনেকামস্ক অঞ্চলের মেয়র রামিল মুলিন বলেছেন, একটি স্থাপনায় ড্রোন হামলা হয়েছে। কোনও হতাহত বা গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, রাশিয়ার তেলের আয় কমাতে তাতারস্থানে একটি রুশ তেল স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের নির্মিত ড্রোনের আঘাতে সেখানে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মস্কোর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
গত কয়েকমাস ধরে রাশিয়ার তেল শোধনাগারে হামলা শুরু করেছে ইউক্রেন। এতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রফতানিকারক দেশ রাশিয়ার তেল বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। রয়টার্সের এক হিসাব অনুযায়ী, ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার ফলে রাশিয়ার তেল শোধনের সক্ষমতা প্রায় ১৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।