জয় বাংলাদেশ: স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ রুশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে গণমাধ্যমে দাবি উঠেছে। পুতিনের সঙ্গেও মাস্কের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলেও মাঝে মাঝে গুঞ্জন ওঠে। এমন প্রেক্ষাপটে ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ ডেমোক্র্যাট সিনেটর।
সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাক রিড এবং ফরেন রিলেশন্স কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য জেনি শাহীন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড এবং পেন্টাগনের ইন্সপেক্টর জেনারেল রবার্ট স্টর্চকে লেখা এক চিঠিতে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত অক্টোবরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করেছিল, ইলন মাস্ক চলতি বছরেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ রাশিয়ান কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
স্পেসএক্সের সিইও হিসেবে মাস্ক মার্কিন সরকারের কোটি কোটি ডলারের চুক্তির তত্ত্বাবধান করেন। সিনেটররা বলেন, ইলন মাস্ক অত্যন্ত স্পর্শকাতর সরকারি চুক্তি পরিচালনা করেন, তাই রাশিয়ার সঙ্গে তার সম্ভাব্য যোগাযোগ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
যদিও ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ পুতিনের সঙ্গে মাস্কের কথিত ফোনালাপ নিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রাক-নির্বাচনী দাবিকে ‘মিথ্যা তথ্য’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ঐতিহাসিকভাবে দুজনের মধ্যে কেবল একবার ফোনালাপ হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
পেসকভ বলেন, ‘২০২২ সালের আগে তারা টেলিফোনে কথা বলেছিল। সে সময় তারা রাশিয়ার বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যতের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরপর মাস্ক ও পুতিনের মধ্যে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি এবং অন্য সব অভিযোগের কথা মিথ্যা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, মাস্ক ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডিওজিই) প্রধান হবেন। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হবে মার্কিন সরকারের বার্ষিক ব্যয়ে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ‘অপচয় ও জালিয়াতি’ কমানো, সরকারী আমলাতন্ত্র ভেঙে দেওয়া, অতিরিক্ত বিধিনিষেধ হ্রাস করা, অপচয় ব্যয় হ্রাস করা এবং ফেডারেল এজেন্সিগুলিকে পুনর্গঠন করা। মাস্কও বলেছেন, ডিওজিইতে তার ভূমিকা একটি ‘বিপ্লব’ হতে চলেছে।