জয় বাংলাদেশ : কুইন্সের সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততম এলাকা বাংলাদেশি অধ্যুষিত রুজভেল্ট এভিনিউ বিশেষত জ্যাকসন হাইটস এলাকা। সিটির অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হবার কারনে এখানে সব ধরনের মানুষের চলাচলও বেশি। তাই এলাকা কেন্দ্র করে ছোট বড় ব্যবসা -বিপনী বিতানের পাশাপাশি রাস্তার মোড়ে মোড়ে হকাররা তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে অবৈধভাবে। পথচারীদের আড্ডাও তাই বেড়েছে যেকোন সময়ের তুলনায়। নিউইয়র্ক সিটির আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে বরাবরাই এ রুলভেল্ট এভিনিউ হ্চ্ছে সবচে অপরাধ প্রবণ এলাকা। বিশেষত কুইন্সের ৯১ স্ট্রিটের কাছে রুজভেল্ট অ্যাভিনিউ, যেটি একটি অবৈধ উন্মুক্ত-এয়ার অভিবাসী বাজার এবং কয়েক ডজন ফুটপাথের যৌনকর্মীদের ব্যবসার স্থান আর এখন ব্লকের দ্বিগুণ হুকার রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা । তারা বলছেন, এখানে অপরাধীরা এতোটায় শক্তিশালী এবং সংঘবদ্ধ যে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলেও প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়।
এসব অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে এবার তাই সিটি গভর্নরের কাছে রুলভেল্ট এভিনিউতে বসবাসরত অধিবাসী ও ব্যবসায়ী নেতারা চিঠি দিয়েছেন প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে। বিশেষ করে সিটির এই সবচেয়ে অপরাধ প্রবণ অঞ্চলে অপরাধ কমাতে নিউইয়র্ক স্টেট থেকে ১শ জন স্ট্রেট ট্রপার নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তারা। গভর্নর ক্যাথি হোকুলও মনে করেন , এই এলাকা কুইন্সের সবচেয়ে অশুচি অংশ যেখানে ভয়ংকর ভাবে পতিতালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে অবৈধ ব্যবসা ও অপরাধ ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার হোকুলকে লেখা এক চিঠিতে “লেটস ইমপ্রুভ রুজভেল্ট অ্যাভিনিউ” গ্রুপের নেতারা জানান, “এটি একটি শহুরে অপরাধ অঞ্চল এবং এর ফলস্বরূপ আমাদের এখানে ছোট ছোট গ্রোসারির চেয়ে বেশি পতিতালয় রয়েছে । তারা এও বলছেন, এনওয়াইপিডি এর ১০০তম এবং ১১৫তম প্রিজেক্ট কর্মীসংকটে ভুগছে” এবং এই এলাকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে। মাদকচক্র, মানব পাচার, পিম্প, পতিতা এবং দোকানদারি চক্র এখন দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। রুজভেল্ট অ্যাভিনিউতে পতিতালয় ও দোকানদারি বৃদ্ধি যা জ্যাকসন হাইটস, করোনার, এলমহার্স্ট এবং উডসাইডের মধ্য দিয়ে চলে। দুটি পাবলিক স্কুলের ঠিক সামনে পতিতালয়ও দেখা গেছে।
স্থানীয় নেতারা অবৈধ খাবারের ব্যবসায়ীদের বিস্তার নিয়েও অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, “আমাদের রাস্তা নোংরা। আমাদের কমিউনিটি আর অপেক্ষা করতে পারছে না । আমাদের জীবনমান ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমাদের নিউ ইয়র্ক রাজ্যের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।”
অবশ্য হোকুলের অফিস জানিয়েছে যে রাজ্য পুলিশ এনওয়াইপিডির -এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে এবং যখন প্রয়োজন হয় তখন সহায়তা প্রদান করে। এই চিঠিটি গ্রুপের সভাপতি রামন রামিরেজ বায়েজ এবং ডেমোক্র্যাটিক জেলা নেতা ও প্রাক্তন রাজ্য সিনেটর এবং কাউন্সিলম্যান হিরাম মনসেরাতে স্বাক্ষর করেছেন।