জয় বাংলাদেশ : বাংলাদেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের নেতারা দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং কারখানার উৎপাদন ও সরবরাহব্যবস্থা সচল রাখতে শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদারে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা চাঁদাবাজি রোধের দাবি জানিয়েছেন।
এফবিসিসিআইয়ের (ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি) একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ দাবি জানায়। ঢাকায় আর্মি হেডকোয়ার্টারে অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতে এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলম।
প্রতিনিধিদলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, মীর নাসির হোসেন, এ কে আজাদ ও মো. জসিম উদ্দিন; স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তপন চৌধুরী; ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ; পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসির এজাজ বিজয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম নিরাপত্তা ইস্যুতে শিল্প এলাকাগুলোয় ইতিমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম ও টহল পরিচালনা করায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় তিনি শিল্পের নিরাপত্তা জোরদার করতে ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থা ফেরাতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
ব্যবসায়ী সম্প্রদায়সহ দেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন বলে ব্যবসায়ী নেতাদের আশ্বস্ত করেন সেনাপ্রধান। তিনি জানান, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহব্যবস্থা ও বন্দরের নিরাপত্তা প্রদানসহ দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যাতে নির্বিঘ্নে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন, সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে।
কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান যেকোনো ধরনের হুমকির শিকার হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।