জয় বাংলাদেশ: যুক্তরাষ্ট্রে নতুন মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর আগের কোন কোন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হবে, সেই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমের সদস্যরা শীর্ষ কর্মকর্তাদের এই তালিকা তৈরি করছে।
দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, বরখাস্ত হতে যাওয়াদের মধ্যে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফও থাকতে পারেন। এটিকে পেন্টাগনে একটি ‘নজিরবিহীন ঝাঁকুনি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয়ের পর বরখাস্তের পরিকল্পনা এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ট্রাম্পের প্রশাসন গঠনের সঙ্গে সঙ্গে এই পরিবর্তন হতে পারে।
একটি সূত্র পেন্টাগনে গণহারে বরখাস্ত করার সম্ভাব্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। সূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্প নিজে এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। যদিও নির্বাচনের আগে তিনি প্রতিরক্ষা নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে সমালোচনা করেছেন। আফগানিস্তান থেকে ‘সেনা প্রত্যাহারের জন্য দায়ীদের’ নিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারের সময়ও বক্তব্য রেখেছিলেন।
তবে এ নিয়ে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবির তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
আরেক সূত্র রয়টার্সকে বলছে, নতুন প্রশাসন সম্ভবত ট্রাম্পের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের সাবেক চেয়ারম্যান মার্ক মিলির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর বেশি নজর দেবে। গত মাসে প্রকাশিত বব উডওয়ার্ডের ‘ওয়ার’ বইয়ে মিলি ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলে অভিহিত করেন।
দ্বিতীয় সূত্রটি বলেছে, মিলি যাদের পদোন্নতি ও নিয়োগ দিয়েছিলেন প্রত্যেককে ট্রাম্প প্রশাসন বরখাস্ত করতে পারে। ‘মিলির সাথে যুক্ত প্রত্যেকের একটি বিশদ তালিকা রয়েছে। তারা সবাই চলে যাবে।’
জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের মধ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ পদমর্যাদার কর্মকর্তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং এতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, মেরিন, বিমান বাহিনী, ন্যাশনাল গার্ড এবং স্পেস ফোর্সের প্রধান রয়েছে।
ট্রাম্পের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হতে যাওয়া ৪৪ বছর বয়সী হেগসেথ নিজের লেখা এক বইয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে পেন্টাগনের জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বকে আমূল পরিবর্তন করতে হবে, যাতে আমরা আমাদের জাতিকে রক্ষা করতে এবং আমাদের শত্রুদের পরাজিত করতে প্রস্তুত হতে পারি। অনেক লোককে বরখাস্ত করা দরকার।