জয় বাংলাদেশ: তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পদত্যাগ করেননি, এটা আমাদের সবার কাছে স্পষ্ট। তার পতন হয়েছে। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে বাংলাদেশের ছাত্রজনতা।’
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে আয়োজিত গণঅভ্যুত্থানের সরকার প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
এ সময় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জুলাই আন্দোলনটা ছিল ৩৬ দিনের। ৩৬ দিনে আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে। সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগের জন্ম এখন নয়। এক এগারোর সময় থেকেই মূলত বিরাজনীতিকরণ শুরু হয়। সেখান থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের শুরু হয়। সেই সময় তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে সংসদে আসে। সংবিধান পরিবর্তন করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা চালাতে থাকে।’
জুলাই আন্দোলন মূলত মর্যাদার লড়াই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের যখন রাজাকার, বাচ্চা রাজাকার বলা হলো তখন সেটা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আত্মমর্যাদায় লেগেছে। তখন সেটা আমাদের মর্যাদার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘তখনকার মিডিয়া, পুলিশ প্রশাসন সব কিছুই তাদের পক্ষে ছিল। আমাদের কথা বলার কোনও সুযোগ দেয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি মৌলিক কিছু সংস্কার করতে না পারে, তাহলে আমাদের ব্যর্থতা থেকে যাবে। অনেকে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মনে করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাজ থাকে একটা নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। কিন্তু আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে চাই। আমরা একটি ধারা বন্দোবস্ত করতে চাই, যার মাধ্যমে নতুন করে যেন আবার স্বৈরাচার সরকারের না আসতে পারে।’
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।