সরকারি দলের লোকেরা বাজার নিয়ন্ত্রণের সিন্ডিকেট করেছে এবং তারাই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে ক্ষমতাসীনরা। ফলে তারল্য সঙ্কটে ডলারের দাম বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দ্রব্যমূল্যের ওপর। কারণ পুরো সিন্ডিকেটটা নিয়ন্ত্রণ করে সরকারি দলের দায়িত্বশীলরা। যারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে, তারাই বাজার নিয়ন্ত্রণের সিন্ডিকেট করেছে। তারাই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীন করছে।
রোববার (১৭ মার্চ) কক্সবাজার পর্যটন মোটেলের জারা কনভেনশন হলে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে কারানির্যাতিতদের সম্মাননা ও ইফতার মাহফিল’-এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, যারা ভোট চুরি করে, তারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে, ব্যবসা বাণিজ্যও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে। সরকারি দলের লোকজনের পরিস্থিতি এমন যে, রাস্তাঘাটে পর্যন্ত চাঁদাবাজি শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক থেকে গণহারে চাঁদাবাজির প্রভাব ভোক্তার ওপর পড়ছে। সে লোকগুলোও কিন্তু সরকারি দলের। নির্বাচিত সরকার না থাকায় সুবিধাভোগীরাই এসব ফায়দা লুটছে।
তিনি আরও বলেন, একতরফা সরকার ক্ষমতায় থাকতে বিভিন্ন সুবিধাভোগী গ্রুপ সৃষ্টি করেছে। যাদের কাছে জিম্মি ব্যবসায়ীরা। আর এসব গ্রুপ ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রয়েছে। যার পুরোটার চাপ পড়ে সাধারণ মানুষের ওপর। যতদিন পর্যন্ত অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এ দুর্ভোগ ও সিন্ডিকেট জনগণের ওপর চেপে বসে থাকবে। তাদের দ্রুত ক্ষমতা থেকে হঠাতে হবে।
এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু বিরোধী দল নয়, গেল নির্বাচনে ৯৫ শতাংশ জনগণের উপস্থিত না থাকাটাই বড় প্রতিবাদ। জনগণ যে এ সরকারকে চায় না- এটা তারই প্রমাণ। নির্বাচন বর্জনের ডাকে যে ৯৫ শতাংশ মানুষ সাড়া দিয়েছে, এটি আমাদের সাফল্য।