দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করেন। আর এ জন্য বিভিন্ন দেশে গড়ে উঠেছে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ। সম্প্রতি জাপানের ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠান ডিএমএম বিটকয়েনে বড় ধরনের সাইবার হামলা চালিয়ে বিপুলসংখ্যক বিটকয়েন (ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা) চুরি করেছে হ্যাকাররা। প্রতিষ্ঠানটির বরাতে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হ্যাকাররা সাড়ে চার হাজারের বেশি বিটকয়েন চুরি করেছে। যার মূল্য ৩০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার (৩ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা)।
ডিএমএম বিটকয়েনে চালানো এই সাইবার হামলাকে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রার ইতিহাসে অষ্টম বৃহত্তম চুরি হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও হ্যাকাররা চুরি করা বিটকয়েন ১০টি ভিন্ন ভিন্ন ওয়ালেটের মাধ্যমে সরিয়ে ফেলেছে।
ওয়েব নিরাপত্তা সংস্থা ডিফাই জানিয়েছে, হ্যাকাররা গত বছর কয়েক ডজন সাইবার হামলা চালিয়ে প্রায় ২০০ কোটি মার্কিন ডলার সমমূল্যের বিভিন্ন ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা চুরি করেছে। ২০২৪ সালে এ পর্যন্ত ৪৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার সমমূল্যের ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা চুরি করেছে তারা। অনেক দেশে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা বৈধ নয়। এর ফলে সাইবার হামলা চালিয়ে বিটকয়েনসহ বিভিন্ন ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা চুরি করলেও সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জানায় না অনেক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। আর তাই হ্যাকাররাও আগের তুলনায় বিটকয়েনসহ বিভিন্ন ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা চুরি করতে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে।