জয় বাংলাদেশ : বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের হত্যা মামলায় নাম আসা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। মামলার নাম আসার পর স্বাভাবিকভাবেই সাকিবের জাতীয় দলের হয়ে খেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ ব্যাপারে বিসিবির সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বোর্ড আগে বিষয়টি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। তারপর এ ব্যাপারে যা বলার বলবে।
এদিকে, সাকিব এখন রাওয়ালপিন্ডিতে ২১ আগস্ট শুরু হওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলছেন। এ বছরের জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনে মাগুরা-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব। ৫ আগস্ট আদাবরে পোশাক কারখানার কর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা রফিকুল ইসলামের করা মামলায় সাকিবকে আসামি করা হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরে সরকার পতনের দাবিতে সংঘর্ষ চলাকালে ৫ আগস্ট পোশাক কারখানার কর্মী রুবেল গুলিবিদ্ধ হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে এ মামলায় সাকিবসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাদীর অভিযোগ, ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিং রোডে মিছিলে অংশ নেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও মদদে মিছিলে গুলি ছোড়া হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান।
সাকিব এ সময় দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যস্ত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি লিগ মেজর লিগ টি-টোয়েন্টি খেলে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলছিলেন তিনি। কোটা আন্দোলন ও পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূত্র ধরে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পুরো সময়টা দেশের বাইরেই ছিলেন সাকিব।