Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeস্বদেশ সংবাদসালমান-নজরুলসহ ৫ প্রভাবশালীর কর ফাঁকির খোঁজ

সালমান-নজরুলসহ ৫ প্রভাবশালীর কর ফাঁকির খোঁজ

জয় বাংলাদেশ : এবার কর ফাঁকির তদন্তের মুখে পড়েছে দেশের শীর্ষ পাঁচ শিল্প গ্রুপের শীর্ষ ব্যবসায়ী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। তালিকায় বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের আহমেদ আকবর সোবহান, সামিট গ্রুপের মুহাম্মদ আজিজ খান, নাসা গ্রুপের নজরুল ইসলাম মজুমদার ও ওরিয়ন গ্রুপের ওবায়দুর রহমানের নাম রয়েছে।

আপাতত শীর্ষ পাঁচ শিল্প গ্রুপের কর ফাঁকি খতিয়ে দেখা হলেও একে একে আরও বহু প্রতিষ্ঠান ও তাদের উদ্যোক্তাদেরও ধরা হবে। এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল–সিআইসি এসব কর ফাঁকির অনুসন্ধান করবে।

এনবিআরের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, এরই মধ্যে দেশসেরা এসব শিল্প গ্রুপের শীর্ষ উদ্যোক্তাদের নিজের ও পরিবারের যত সদস্যই থাক না কেন, তাঁদের সবার আর্থিক লেনদেন, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ও সঞ্চয়পত্রসব যাবতীয় আয়–ব্যয়ের তথ্য চেয়ে সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, সঞ্চয় অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে ।

সংস্থাটির সূত্রে আরও জানা যায়, এসব ব্যক্তি তাঁদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ আয়কর নথিতে উল্লেখ না করে ফাঁকি দিয়ে থাকতে পারেন বলে কর বিভাগ সন্দেহ করছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে এনবিআর তাঁদের অবৈধ আয়ের বিষয়ে তথ্য পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় তালিকা করা হয়েছে।

এনবিআর জানায়, এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আয়কর আইন, ২০২৩ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর অধীনে কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ফাঁকি দেওয়া করের টাকা আদায়ের পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনবিআরের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানোর আগে সংস্থার চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান সিআইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে এই পাঁচটি শিল্পগোষ্ঠীর গত কয়েক বছরের আয়কর, ভ্যাট, কাস্টমস–সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে কর ফাঁকির তদন্ত করতে বলা হয়। এ ছাড়া এসব গোষ্ঠীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের আমদানি–রপ্তানি পর্যালোচনা করাও সিদ্ধান্ত হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

সিআইসির কর্মকর্তারা বলছেন, আপাতত এই শীর্ষ পাঁচ গ্রুপের কর ফাঁকির বিষয়টি দেখা হবে । এর সাথে তাদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। ফলে তালিকা একেবারে ছোট নয়। সবার তথ্য পেতে হয়তো তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগবে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। অন্য আরও অনেকেই এ প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়বেন। তাঁদের ব্যপারেও একই ধরবেন ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments