তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে যে অধিকার বাংলাদেশের মানুষকে দেওয়া হয়েছে, সেটা হচ্ছে ভোটের অধিকার। মানুষের কথা বলার অধিকার। সাংবিধানিক অধিকারের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে, আমরা কথা বলছি। আজকে সরকার যদি বিএনপি তথা বিরোধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে দিয়ে এ দেশে কাগজে-কলমে লিখিত বাকশাল নতুন করে তারা কায়েম করে- যে রকম তারা একবার করেছিল সংসদের ভেতরে ১১ মিনিটের ব্যবধানে। যদি তারা বাকশাল নতুন করে কায়েম করে তাহলে আজকে পুনরায় প্রমাণিত হবে যে, এই আওয়ামী লীগ সরকার; যারা নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে, সেটা তাদের ভুয়া দাবি। তারা কোনো দিন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে নাই।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যদি বিরোধী দল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়, এখানে গণতন্ত্রের স্পেস কোথায় থাকে! মূল কথা হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করার জন্য, কুক্ষিগত করার জন্য বিচার বিভাগকে কুক্ষিগত করেছে। তারা বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের মানসিকতা।’
বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি রাজনীতি করে জনগণের জন্য। আমাদের যে আন্দোলন বিগত দেড় বছর ধরে চলছে, এ দেশে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য- ক্ষমতার জন্য নয়। আমরা চাই, পরিবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ সত্যিকারের মালিকানা তারা নিজের হাতে ফিরে পাবে। বাংলাদেশের মানুষ কোনো রাজনৈতিক দলকে অধিকার দেয়নি যে, তারা নিজ স্বার্থে অর্থ, বিত্ত, সম্পদের জন্য, গুলশান টু, গুলশান থ্রি তৈরি করার জন্য, সেকেন্ড হোম তৈরি করার জন্য বা এ দেশ থেকে সব সম্পদ লুট করে বিদেশে নিয়ে যাবে; এই কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি,’ যোগ করেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং পাশাপাশি তাদের অর্থনৈতিকভাবে বেঁচে থাকার সুন্দর জীবন যাপনের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে; এটাই আজকে আমাদের সংগ্রাম।’