Tuesday, November 19, 2024
Google search engine
Homeস্বদেশ সংবাদ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য

১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া নাগরিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। ছাত্র, ওয়ার্কার বা ভিজিটর ভিসায় গিয়ে অ্যাসাইলাম আবেদনকারী বাংলাদেশিদের জন্য এটি একটি বড় রকমের দুঃসংবাদ।

চলতি সপ্তাহে লন্ডনে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র বিষয়ক যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ এই ফিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়। আর গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এমন ঘোষণা দেয় ব্রিটিশ হোম অফিস।

হোম অফিস বলছে, ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থী বিদেশি নাগরিক এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও ব্রিটেনে থাকা ব্যক্তিদের শিগগিরই ফেরত পাঠানো হবে।

বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসায় ২০২৩ সালে প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি ব্রিটেনে প্রবেশ করে। ১২ মাসের মধ্যেই তারা আশ্রয়ের আবেদন করেন। দ্যা টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন বলছে, আশ্রয় চেয়ে ব্রিটেনে ঢোকার ‘পেছনের দরজা’ কাজে লাগাতে গত বছরের মার্চ পর্যন্ত ছাত্র, শ্রমিক বা ভিজিটর ভিসায় এসেছিলেন এসব অভিবাসী।

এর মধ্যে যে সকল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়েই পড়াশোনা চলমান না রেখে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য অ্যাসাইলাম আবেদন করেছেন এবং ওয়ার্কার বা ভিজিটররাও অ্যাসাইলাম আবেদন করেছেন, তাদেরও আবেদন প্রত্যাখান করা হয়েছে।

ব্রিটেনের অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ প্রতিমন্ত্রী টমলিনসন বলেন, লোকজনের আসা-যাওয়া ঠেকাতে আমাদের পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে বিদেশিদের অপসারণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা। বাংলাদেশ আমাদের মূল্যবান অংশীদার। এটি চমৎকার যে, আমরা এই বিষয়সহ অন্যান্য বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক জোরদার করছি। আমরা ইতোমধ্যেই স্পষ্ট প্রমাণ দেখেছি, এসব চুক্তি অবৈধ অভিবাসনের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর জন্য বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন। সবার জন্য একটি ন্যায্য ব্যবস্থা তৈরিতে আমি বাংলাদেশ ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।

টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিসা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতি দেয় – সাধারণত কয়েক মাস। কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য আশ্রয়প্রার্থীদের এখানে থাকার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ হোম অফিস মানবাধিকার আইনসহ তাদের ফেরত পাঠাতে বিশাল বাধার সম্মুখীন হয়।

গত মাসে ফাঁস হওয়া এবং ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ফাঁস হওয়া সরকারি নথিতে দেখা গেছে, ভিসাধারীরা রেকর্ড ২১ হাজার ৫২৫টি আশ্রয় দাবি করেছেন। ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করা প্রতি ১৪০ জনের মধ্যে একজন আশ্রয় চেয়েছেন।

আশ্রয় চাওয়াদের মধ্যে পাকিস্তান ছিল বৃহত্তম। প্রায় ১৭ হাজার ৪০০ জন পাকিস্তানি আশ্রয় চান। এরপরেই আছে বাংলাদেশের নাম। এ দেশ থেকে ১১ হাজার আশ্রয় চান। এরপর আছে ভারত (৭৪০০ জন), নাইজেরিয়া (৬৬০০ জন) এবং আফগানিস্তান (৬০০০ জন)।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

নতুন সংবাদ

Recent Comments